সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

গাড়িতে সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার গুরুত্বঃ

আসসালামু আলাইকুম, 

আশা করি এই মহামারীতে সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা আলোচনা করবো ইঞ্জিন অয়েল সময়মতো  পরিবর্তন গুরুত্ব নিয়ে। আমরা ইঞ্জিন অয়েল কে মানুষের শরীরের রক্তের সাথে তুলনা করতে পারি! রক্তে যেমন ইনফেকশন হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায় ঠিক তেমনি ইঞ্জিন অয়েল নষ্ট হলে আপনার গাড়িটিতে নানা রকম সমস্যা দিবে। আমরা সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার উপর অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ানের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি। যাতে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন এর গুরুত্ব।  আপনারা একটু মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টি পড়লে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন এর গুরুত্ব কতটুকু।  আপনার বুঝার সহজ করার জন্য আমরা নিম্নে পয়েন্ট আকারে বর্ননা করেছি।




১। ইঞ্জিন অয়েল কি? 


ইঞ্জিন অয়েল বলতে বুঝায় এক প্রকার পিচ্ছিল কারক অয়েল, যা ইঞ্জিন চলার সময় ঘুর্নায়মান যন্ত্রাংশের তাপ শোষন ও ক্ষয় রোধ করে ইঞ্জিন কে চলতে সাহায্য করে।


২।ইঞ্জিন অয়েল গ্রেডঃ-

অনেকে সাধারণত  বাজারের যে কোন গ্রেডের অয়েল দ্বারা ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করে থাকে।  যা একদম ঠিক না।  ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি যখন গাড়ি উৎপাদন করে তখন তারা রিসার্চ করে কোন গ্রেডের অয়েল সেই গাড়ির জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এছাড়াও আপনি যে মডেলের গাড়ি ক্রয় করে থাকেন তার সাথে ম্যানুয়ালে আপনার ইঞ্জিন অয়েল এর গ্রেড দেওয়া থাকে। তাই সার্ভিস ম্যানুয়ালে দেওয়া গ্রেড অনুযায়ী অয়েল পরিবর্তন করা উচিত। 


বাজারে বিভিন্ন গ্রেডের অয়েল পাওয়া যায় যেমন।

5W30

10W30

15W40

20W50


এ ছাড়া রয়েছে ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড। ‘ডব্লিউ’ চিহ্ন দিয়ে আবহাওয়ার সংকেত বোঝানো হয়। ৫ ডব্লিউ ৩০–এর মানে হলো ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার ওপরে এবং ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত আবহাওয়ার জন্য উপযোগী ইঞ্জিন অয়েল


৩। ইঞ্জিন অয়েল প্রকারভেদঃ-

বাজারের সাধারণত তিন ধরনের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়।

মিনারেল, সেমি-সেন্থিটিক,সেন্থিটিক

#মিনারেলঃ-


 মিনারেল অয়েল হচ্ছে ক্রুড অয়েল কে সামান্য রিফাইন করে বাজারজাত করে। এটি তুলনামূলক কম মাইলেজ চলে।


#সেমি-সেন্থিটিকঃ- 


মিনারেল অয়েল কে আরো কয়েক ধাপ রিফাইন করে এডিটিভ যোগ করে তৈরি করা হয় এটি সাধারণত মিনারেল অয়েল থেকে মাইলেজ বেশী যায়।


#সেন্থেটিক অয়েলঃ 


সেমি সেন্থিটিক কে রিফাইন করে এর পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে তৈরি করা হয়। এটি মাইলেজ সবচেয়ে বেশি।


৪. স্ট্যান্ডার্ড মাইলেজ:

গাড়ি মালিকদের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যে ইঞ্জিন অয়েল সাধারন কত কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়? এটি বলে রাখা ভাল যে এক ইঞ্জিন অয়েলে গড়ে ১০০০০ মাইল পর্যন্ত চালাতে পারবেন। তবে ইঞ্জিন অয়েল এর ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানি ও গাড়ি ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে তাকে। যেমন কারে ৩০০০, হেভি কমার্শিয়াল এ ৫০০০,৬০০০,১০০০০ হয়ে থাকে।


৫. ইঞ্জিন অয়েলের রঙ চেক করুন:

ইঞ্জিন অয়েলের রঙ পরীক্ষা করে দেখুন। এটি করার সময় গাড়ী ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়কালের পরে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী করতে হবে। এটি আপনার কাছে তখন স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা আলাদা দেখাবে। তেলের রঙটি নোংরা চেহারায় পরিবর্তিত হবে যার অর্থ আপনার অবশ্যই ইঞ্জিন তেল পরিবর্তন করা উচিত।


৬. ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ:

আপনার গাড়ির ইঞ্জিনটি স্বাভাবিকের মতো কাজ করবে না এটি আরও শব্দ করবে যা ইঙ্গিত করে যে এর কিছু দরকার বা এর ভিতরে কিছু সমস্যা আছে। আপনার ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন করার ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে, এটি প্রথমে চেক করে দেখতে হবে যে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে কি না, তারপরেও যদি সমস্যাটি থেকে যায় তবে আপনাকে যান্ত্রিকের দোকানে যেতে হবে। এমন অবস্থায়, আপনি আপনার গাড়ির প্রতি আরও আন্তরিক হউন, অন্যথায় আপনার গাড়িটি আপনার কল্পনাশক্তির বাইরেও ক্ষতি হতে পারে।


৭. তেলের লেভেলটা যাচাই করুন:

আপনি এি ব্যাপারটি ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, আপনি যখনই মনে করছেন ইঞ্জিন অয়েলে সমস্যা আছে তখন আপনার এটা করা উচিত। ইঞ্জিন অবস্থা অবস্থা জানার এটি অন্যতম সহজ উপায়। এটি করতে ইঞ্জিন অয়েল লেভেল পরীক্ষক ব্যবহার করুন।


৮. ইঞ্জিন অয়েলের মিটারে আপনার নজর রাখুন:

এই পয়েন্টটি জানা সবচেয়ে সহজ উপায়। গাড়ির মালিক / ড্রাইভার বেশিরভাগই জানেন এটি একটি সূচক যা ইঞ্জিন অয়েলের লেভেল নির্দেশ করে। আপনি এটি থেকে সহায়তা নিতে পারেন।


সুস্থ থাকুন,

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন 

বিডি অটোমোবাইল জোন এর সাথে থাকুন।

#Author  Md Mohiuddin 

#bd_automobile_zone

#engineoilchange

#গাড়িতে_সময়মতো_ইঞ্জিন_অয়েল_পরিবর্তন_করার_গুরুত্ব

Ashok Leyland bada dost /Phoenix

 বাংলাদেশে অশোক লেল্যান্ড এর আপডেট মডেল অশোক লেল্যান্ড ফিনিক্স বাদা দোস্ত লন্স করেছে।  খুবই চমৎকার একটি পিকাপ। এই পিকাপ টিতে ব্যবহ্ত হয়েছে ব...