রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

চাকা বেশি ক্ষয় হওয়ার কারন

কাস্টমার কমপ্লিন ও সমাধানঃ-


সমস্যা

 ১। চাকা বেশি ক্ষয় হওয়ার কারন।

কারনঃ

১।চাকার হাওয়া বেশি। 

২। চাকার হাওয়া কম।

৩। ওভারলোড নেওয়া।

৪।চাকার নাট বোল্ট ডিলে হলে।

৫।চাকার এলাইনমেন্ট ঠিক না থাকলে।

৬।কিং পিন ওভার ফ্রী প্লে থাকলে।

৭।কিংপিন ড্যামেজ হলে।

৮।টাই রড এর নাট বল্ট ডিলে বা ড্যামেজ হলে।

৯।নাকাল  জয়েন্ট ড্যামেজ বা নাট বল্ট ডিলে হলে।

১০।স্প্রিং পাতির বুশ নষ্ট থাকলে।

১১। চাকার হাবসের প্রি প্লে বেশি থাকলে।

১২।ক্রস সেকশনে লিংক রড ড্যামেজ থাকলে। 

১৩।সময়মত গ্রীজ না করা।




উপরোক্ত বিষয় গুলো চেক করে যেটার সমস্যা পাওয়া যাবে তার সমাধান করলে অতিরিক্ত চাকা ক্ষয় হওয়া রোধ হবে।


ধন্যবাদ সকলকে 

#bd_automobile_zone

#tyre_were

#চাকা_খায়

#চাকা_ক্ষয়

ডিফারেন্সিয়াল ও গিয়ার অয়েল সময়মতো পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা।

 আসসালামু আলাইকুম, 


আশা করি সকলে পবিত্র মাহে রমজানের রহমতে  ভালো আছেন। 


আজকে আমরা আলোচনা করবো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে।  তা হলোগাড়ির ডিফারেন্সিয়াল ও গিয়ার অয়েল সময়মতো পরিবর্তন করা ও এর প্রয়োজনীয়তা। 



বাংলাদেশে আমরা সবাই এখন ইঞ্জিন অয়েল সময়মতো পরিবর্তন করা নিয়ে সচেতন থাকি কিন্তু গিয়ারবক্সের অয়েল ও ডিফারেন্সিয়াল অয়েল সময়মতো পরিবর্তন করা নিয়ে সচেতন থাকি না। 


যার কারনে গিয়ার বক্সে ও ডিফারেন্সিয়াল এ যতগুলো  ফেইলর হয় তার অধিকাংশ গুলো হয় সময়মতো অয়েল পরিবর্তন না করার জন্য। যার জন্য আপনাকে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। 


সাধারণত একটা ডিফারেন্সিয়াল ফেইলর হলে ৬০ বা ৭০ হাজার টাকার মতো লাগে। আর একটা গিয়ার বক্সে ফেইলর হলে ৩০ বা ৪০ হাজার টাকা মতো লাগে। আপনি এই বিশাল ক্ষতির হাত রক্ষা পেতে শুধুমাত্র সময়মত গিয়ার ও ডিফারেন্সিয়াল অয়েল পরিবর্তন হবে। 



নিম্নে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল গাড়ি গুলোর সুপারিশকৃত গিয়ার বক্সে ও ডিফারেন্সিয়াল  অয়েল এর নাম গ্রেড ও সময় দেওয়া হলো। 


১.ব্যান্ডঃ টাটা

★ সুপারিশকৃত অয়েলঃ ম্যাক টাটা 

★গ্রেডঃ গিয়ার অয়েল 80W90, 

          ডিফারেন্সিয়াল অয়েল 85W140.

★পরিবর্তন করার সময়ঃ ৩৬ হাজার কিঃমিঃ

    অথবা ৮   মাস পরপর।


২.ব্যান্ডঃ অশোক লেল্যান্ড 

★ সুপারিশকৃত অয়েলঃ গাল্প অয়েল  

★গ্রেডঃ গিয়ার অয়েল  80W90, 

          ডিফারেন্সিয়াল অয়েল 85W140.

★পরিবর্তন করার সময়ঃ ৪০ হাজার কিঃমিঃ

    অথবা ১২ মাস পরপর।


৩.ব্যান্ডঃ আইসার 

★ সুপারিশকৃত অয়েলঃ সেল লুব্রিক্যান্ট

★গ্রেডঃ গিয়ার অয়েল 80W90, 

          ডিফারেন্সিয়াল অয়েল 85W140.

★পরিবর্তন করার সময়ঃ ৩০ হাজার কিঃমিঃ


   ৪.ব্যান্ডঃ মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা 

★ সুপারিশকৃত অয়েলঃ সেল লুব্রিকেন্টস

     গ্রেডঃ গিয়ার অয়েল 80W90

    ডিফারেন্সিয়াল অয়েল 85W140

★পরিবর্তন করার সময়ঃ ১৫ হাজার কিঃমিঃ

    অথবা ৩ মাস পরপর।


#bdautomobilezone 

#tata

#ashokleyland 

#Eicher

#Mahindra 

#Gearoilchange

#Diffarentioanoilchange

#lubricant

শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২

CRS বা কমন রেইল সিস্টেম ইঞ্জিনের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ

 আসসালামু আলাইকুম, 

আশা করি সকলে ঈদ ভালো ভাবে উদযাপন করেছেন এবং সুস্থ আছেন। 


আজকে আমরা আলোচনা করবো (সিআরএস) কমন রেইল সিস্টেম ইঞ্জিন বা লোকাল কাস্টমার যাকে ইলেকট্রিক গাড়ি বলে তার রক্ষাণাবেক্ষন এবং সুবিধা নিয়ে। 



অনেক কাস্টমারের অভিযোগ এই সকল গাড়ির সার্ভিসিং খরচ বেশী এবং সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আমি তাদের উদ্দেশ্য বলবো আপনারা নিচের  সার্ভিস গুলো মেনে চলুন। আপনার গাড়ি মেনুয়াল গাড়ি থেকে অনেক ভালো সার্ভিস দিবে। 


চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় আসা যাক।


সার্ভিস নির্দেশিকাঃ-

১। ট্যাংকের ফুয়েল ধারণ ক্ষমতা বেধে সবসময় সর্বনিম্ন  ১০/১৫/২০ লিটার তেল ট্যাংকে রাখা। এই পরিমান তেল আসলে আপনি মনে করবেন আপনার গাড়ি তেল শেষ।  তাই পুনরায় তেল রিফিল করবেন। 


টাংকির তেল একেবারে শেষ করে ফেললে ট্যাংকে জমে থাকা ময়লা ইঞ্জিনে চলে আসবে ফলে আপনার ফুয়েল ট্যাংকে থাকা ফিড পাম্প, আইএমভি বা হাই প্রেশার পাম্প এবং ইনজেক্টর বা নজেল খুব দ্রুতই নষ্ট হবে।  যা আপনার ব্যবহারের কারনে হবে! আর আপনি দোষ দিবেন গাড়ির। যেটা একদমই সঠিক নয়।


২। জেনুইন ফুয়েল বা ডিজেল ফিল্টার ব্যবহার করা। 

অনেকে বাজারের লোকাল ডিজেল ফিল্টার ব্যবহার করে যার কারনে ফিল্টারে থাকা নিম্ন মানের পেপার গলে গিয়ে ইনজেক্টর বা নজেলে চলে আসে।  ফলে নজেল খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়।


৩। জেনুইন এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করা। জেনুইন এয়ার ফিল্টার ব্যবহারের ফলে ধুলোবালি ও জ্বলীয়বাষ্প মুক্ত বাতাস ইঞ্জিনে যায় ফলে ইঞ্জিন ভালো থাকে। লোকাল এয়ার ফিল্টারে জলীয়বাষ্প শোষণ করতে পারে না। 


৪।  সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা।অবশ্যই মেনুফ্যাকচার কোম্পানির সুপারিশকৃত অয়েল ব্যবহার করবেন।  লোকাল অয়েল বা মবিল ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়ী কমে যায়।


৫। সবসময় কুল্যান্ট ব্যবহার করা। সাদা পানি, পুকুর, মিনারেল ওয়াটার ব্যবহার না করা। সাধারণ পানি ব্যবহার করলে রেডিয়েটর, ইঞ্জিনের ওয়াটার জ্যাকেট বা পানির লাইন জ্যাম হয়ে যায়।  ফলে ইঞ্জিন ওভারহিটেড হয় এবং ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়ী কমে যায়। 


৬। প্রতিদিন গাড়ি বের করার আগে গাড়ি সকল লাইট, কানেকটর গুলো দেখে নেওয়া।


৭।  গাড়িতে সবসময় কিছু ফিউজ ও রিলে স্পেয়ার রাখা তাহলে প্রয়োজন হলে ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে গাড়ি অফরোড হবে না।


৮। গাড়ি কোন সমস্যা দেখা দিলে চিন্তিত না হয়ে গাড়ির ফিউজ, রিলে, ইলেকট্রিক কানেকটর গুলো চেক করুন। কানেক্টর গুলো লুচ থাকলে ভালো করে লাগিয়ে দিন। ফিউজ কেটে গেলে নতুন ফিউজ লাগিয়ে নিন। বেশির ভাগ সমস্যা এগুলোতে হয়।


৯। ডিজেল ফিল্টার থেকে পানি ছাড়া অভিজ্ঞ কারে কাছ থেকে শিখে নিন। প্রতি সাপ্তাহে একবার পানি ছাড়ুন।


১০। ভালো মানের ফুয়েল বা ডিজেল ব্যবহার করুন।


আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা আলোকে  আমি নিশ্চিত আপনি উপরের এই দশটি নিয়ম মেনে সার্ভিস করলে আপনার গাড়ির ৯০% সমস্যা চলে যাবে। এবং কমন রেইল সিস্টেম বা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের গাড়ি সম্পর্কে আপনার ধারণা পাল্টে যাবে।


কমন রেইল সিস্টেম ইঞ্জিনের সুবিধা সমূহঃ-


১। ফুয়েল বা ডিজেল খরচ কম হয়।

২। ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বা শক্তি বেশি। 

৩। ওভারলোড বহন করা যায়।

৪। কারেন্ট পিকাপ পাওয়া যায়।

৫। সঠিক সময়ে সঠিক পিকাপ পাওয়া যায়। 

৬। যেকোন সমস্যা দেখা দিলে সার্ভিস বাতি শো করে ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হয় না।


ধন্যবাদ সকলকে ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্ট পড়ার জন্য। 


শুভেচ্ছান্তে


মোঃ মহিউদ্দিন 

 বিডি অটোমোবাইল জোন

#crs_Engine 

#crdi_engine 

#bd_automobile_zone 

#electricvehical

#ashok_leyland_dost

#mahindra_Maxximo 

#Tata_intra

#automobile


Ashok Leyland bada dost /Phoenix

 বাংলাদেশে অশোক লেল্যান্ড এর আপডেট মডেল অশোক লেল্যান্ড ফিনিক্স বাদা দোস্ত লন্স করেছে।  খুবই চমৎকার একটি পিকাপ। এই পিকাপ টিতে ব্যবহ্ত হয়েছে ব...