রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

ডিফারেন্সিয়াল মূলত কি?

  ডিফারেন্সিয়াল মূলত কি?

যে ডিভাইস বা যন্ত্র ইঞ্জিনের ঘূর্ণন গতিকে গিয়ার বক্সের প্রোপেলার শ্যাফট্ এর সাহায্যে পিছনের চাকা দ্বয়ের মাঝে প্রেরণ করে তাকে ডিফারেন্সিয়াল বলা হয়।


ডিফারেন্সিয়ালের কাজ কী?
ডিফারেন্সিয়ালের কাজ বা উদ্দেশ্য গুলো কি কি?
১. প্রোপেলার শ্যাফটের ঘূর্ণন গতি গ্রহণ করে পিছনের চাকাতে প্রেরণ করা।
২. মোটরযানকে সহজভাবে চাকার কৌণিক দূরত্ব বজায় রেখে মোড় ঘুরতে সাহায্য করা। মোটরযান মোড় নেওয়ার সময় বাইরের চাকা ভিতরের চাকা থেকে দ্রুততর ও অধিক ব্যাসার্ধ নিয়ে ঘুড়ে মোটরযানকে মোড় নেওয়াতে সাহায্য করে।
৩. যান সোজা বাঁকা রাস্তায় চলার সময় উভয় চাকাকে ডিফারেন্সিয়াল প্রয়োজন মত ঘূর্ণন দিয়ে থাকে। যার ফলে যান সাবলীলভাবে রাস্তায় চলতে পারে।
৪. ডিফারেন্সিয়াল ড্রাইভ গিয়ার, রিং গিয়ার, সান গিয়ার,এক্সেল এর সাহায্যে কার্য সম্পাদন করে।
ডিফারেন্সিয়াল কত প্রকার?
ডিফারেন্সিয়াল মূলত ৩ প্রকারের হয়ে থাকে-
১. প্রচলিত ডিফারেন্সিয়াল
২. পাওয়ার লক বা নন-স্লিপ ডিফারেন্সিয়াল
৩. দ্বিগুণ হ্রাসকরণ প্রকৃতির ডিফারেন্সিয়াল
ডিফারেন্সিয়ালে কি কি যন্ত্রাংশ গুলো রিয়েছে দেখে নেই-
১. ড্রাইভ পিনিয়ন
২. রিং গিয়ার
৩. স্টার পিনিয়ন
৪. বেভেল গিয়ার
৫. ডিফারেন্সিয়াল কেস
৬. বিয়ারিং
৭. সান গিয়ার
৮. এক্সেল শ্যাফট্
৯. পিন
১০. স্পাইডার গিয়ার
১১. থ্রাস্ট ওয়াসার
১২. ডিফারেন্সিয়াল হাউজিং
এবার আশা যাক ডিফারেন্সিয়াল ব্যবহারে আমরা কি ধরণের সুবিধা পেয়ে থাকি সেই আলোচনায়-
১. ডিফারেন্সিয়াল থাকার ফলে মোটরযানের মোড় নেওয়া সহজতর হয়েছে। ডিফারেন্সিয়াল বিহীন হলে মোড় নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণে কাঠিন্য ভাব দেখা দিবে।
২. ডিফারেন্সিয়াল ব্যবহারের ফলে টায়ারের ক্ষয় কমে যায় এবং সুষমভাবে ক্ষয় হয়। আবার ডিফারেন্সিয়াল বিহীন গাড়িতে দেখা যায় টায়ার গুলো ট্যাপার ভাবে ক্ষয় হয়।
৩. পিচ্ছিল, কাদাযুক্ত ও বরফাবৃত রাস্তায় দূর্ঘটনা ছাড়া যান সহজভাবে চলা বা মোড় নেওয়া যায়।
৪. আকাবাঁকা রাস্তায় চলা বা মোড় নেওয়ার সময় ডিফারেন্সিয়াল কৌণিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে যা অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
৫. ডিফারেন্সিয়াল ব্যবহারের ফলে গাড়ির চাকা কোথাও একটি ফেসে গেলে বা গর্তে আটকে গেলে অপর চাকার সাহায্যে সেখান থেকে উঠে আসা সম্ভব হয়। যা ডিফারেন্সিয়াল ছাড়া গাড়িতে সম্ভব না।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন এবং মন্তব্য থাকলে সেটি কমেন্ট বক্সে লিখুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের মতো এই পর্যন্তই, আগামী পর্বে আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ, সেই পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ইঞ্জিন ওভারহিটেড হওয়ার কারনঃ-

 ইঞ্জিন ওভারহিটেড হওয়ার কারনঃ-



১। কুল্যান্ট ওয়াটার কম থাকা।
২।ওয়াটার পাম্প ঠিক মত কাজ না করা।
৩।থার্মোস্ট্যাট ভালভ কাজ না করা।
৪।ফ্যান না ঘুরা।
৫।ফ্যান বেল্ট লুছ থাকলে।
৬।রেডিয়েটার জ্যাম থাকলে।
৭।ওয়াটার জ্যাকেট জ্যাম হলে।
৮।টেম্পারেচার সেন্সর কাজ না করলে।
৯।কম্প্রেশন লিক করলে।
১০।কুল্যান্ট পানি বাদে সাধারন পানি ব্যবহার করলে।
১১. লুব ওয়েলের ভিসকোসিটি কমে গেলে।
১২. লুব ওয়েলেে সার্কুলেশন সঠিকভাবে না হলে।


0
People Reached
0
Engagements
Like
Comment
Share

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

How to check Piston Ring gap.

ডিফারেন্সিয়াল মূলত কি? এর কাজ বা উদ্দেশ্য গুলো কি কি?

 আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হল ডিফারেন্সিয়াল, যা অধিকাংশ মোটরযানে ব্যবহার হয়ে আসছে।

তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ডিফারেন্সিয়াল মূলত কি?
যে ডিভাইস বা যন্ত্র ইঞ্জিনের ঘূর্ণন গতিকে গিয়ার বক্সের প্রোপেলার শ্যাফট্ এর সাহায্যে পিছনের চাকা দ্বয়ের মাঝে প্রেরণ করে তাকে ডিফারেন্সিয়াল বলা হয়।


ডিফারেন্সিয়ালের কাজ কী?
ডিফারেন্সিয়ালের কাজ বা উদ্দেশ্য গুলো কি কি?
১. প্রোপেলার শ্যাফটের ঘূর্ণন গতি গ্রহণ করে পিছনের চাকাতে প্রেরণ করা।
২. মোটরযানকে সহজভাবে চাকার কৌণিক দূরত্ব বজায় রেখে মোড় ঘুরতে সাহায্য করা। মোটরযান মোড় নেওয়ার সময় বাইরের চাকা ভিতরের চাকা থেকে দ্রুততর ও অধিক ব্যাসার্ধ নিয়ে ঘুড়ে মোটরযানকে মোড় নেওয়াতে সাহায্য করে।
৩. যান সোজা বাঁকা রাস্তায় চলার সময় উভয় চাকাকে ডিফারেন্সিয়াল প্রয়োজন মত ঘূর্ণন দিয়ে থাকে। যার ফলে যান সাবলীলভাবে রাস্তায় চলতে পারে।
৪. ডিফারেন্সিয়াল ড্রাইভ গিয়ার, রিং গিয়ার, সান গিয়ার,এক্সেল এর সাহায্যে কার্য সম্পাদন করে।
ডিফারেন্সিয়াল কত প্রকার?
ডিফারেন্সিয়াল মূলত ৩ প্রকারের হয়ে থাকে-
১. প্রচলিত ডিফারেন্সিয়াল
২. পাওয়ার লক বা নন-স্লিপ ডিফারেন্সিয়াল
৩. দ্বিগুণ হ্রাসকরণ প্রকৃতির ডিফারেন্সিয়াল
ডিফারেন্সিয়ালে কি কি যন্ত্রাংশ গুলো রিয়েছে দেখে নেই-
১. ড্রাইভ পিনিয়ন
২. রিং গিয়ার
৩. স্টার পিনিয়ন
৪. বেভেল গিয়ার
৫. ডিফারেন্সিয়াল কেস
৬. বিয়ারিং
৭. সান গিয়ার
৮. এক্সেল শ্যাফট্
৯. পিন
১০. স্পাইডার গিয়ার
১১. থ্রাস্ট ওয়াসার
১২. ডিফারেন্সিয়াল হাউজিং
এবার আশা যাক ডিফারেন্সিয়াল ব্যবহারে আমরা কি ধরণের সুবিধা পেয়ে থাকি সেই আলোচনায়-
১. ডিফারেন্সিয়াল থাকার ফলে মোটরযানের মোড় নেওয়া সহজতর হয়েছে। ডিফারেন্সিয়াল বিহীন হলে মোড় নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণে কাঠিন্য ভাব দেখা দিবে।
২. ডিফারেন্সিয়াল ব্যবহারের ফলে টায়ারের ক্ষয় কমে যায় এবং সুষমভাবে ক্ষয় হয়। আবার ডিফারেন্সিয়াল বিহীন গাড়িতে দেখা যায় টায়ার গুলো ট্যাপার ভাবে ক্ষয় হয়।
৩. পিচ্ছিল, কাদাযুক্ত ও বরফাবৃত রাস্তায় দূর্ঘটনা ছাড়া যান সহজভাবে চলা বা মোড় নেওয়া যায়।
৪. আকাবাঁকা রাস্তায় চলা বা মোড় নেওয়ার সময় ডিফারেন্সিয়াল কৌণিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে যা অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
৫. ডিফারেন্সিয়াল ব্যবহারের ফলে গাড়ির চাকা কোথাও একটি ফেসে গেলে বা গর্তে আটকে গেলে অপর চাকার সাহায্যে সেখান থেকে উঠে আসা সম্ভব হয়। যা ডিফারেন্সিয়াল ছাড়া গাড়িতে সম্ভব না।

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

ক্যাটালিটিক কনভার্টার কি?

 আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই?
আশাকরি আল্লাহর রহমতে সকলেই সুস্থ আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব ক্যাটালিটিক কনভার্টার নিয়ে।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
☞ক্যাটালিটিক কনভার্টার কি?
ক্যাটালিটিক কনভার্টার হচ্ছে এমনি একটি নিষ্কাশন ডিভাইস যা সুনিয়ন্ত্রিত একটি পদ্ধতির মাধ্যমে ইঞ্জিন হতে বের হওয়া পোড়া গ্যাসের ক্ষতিকারক এবং পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী উপাদান গুলোকে পরিশোধনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে প্রেরণ করে।
☞ক্যাটালিটিক কনভার্টার ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী?
আমরা এখন আধুনিক সভ্যতায় বসবাস করছি।
আধুনিকতার সাথে সাথে আমাদের জীবনযাপনেও অনেক পরিবর্তন এসেছে।
তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পরিবেশ দূষণ।
এই পরিবেশ দূষণের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যেসব বিষয় দায়ী তার মাঝে যানবাহন হচ্ছে অন্যতম।
বর্তমান বিশ্বে দিন দিন যানবাহনের পরিমাণ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে দূষণও।
যার পরিপেক্ষিতে মানুষ এবং সমস্ত প্রাণী আজ হুমকির সম্মুখীন।
যানবাহনে যেসব জ্বালানী ব্যবহার হয় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ডিজেল এবং পেট্রোল, যা উভয়ই পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরি। পেট্রোলিয়াম হল হাইড্রোকার্বন নিয়ে গঠিত। হাইড্রোকার্বন জ্বালানী যখন বায়ুর অক্সিজেনের সাথে জ্বলে, তখন এটি প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপাদন করে।
পাশাপাশি যেহেতু পেট্রোলটিতে প্রায় 150 টি বিভিন্ন রাসায়নিক (অ্যাডিটিভ) রয়েছে, যেগুলো পরিবেশ দূষণ করে। তাছাড়া জ্বালানির পূর্ণ দহন না হলে কিন্তু পরিবেশ দূষণ হয়।
পেট্রোল যখন ইঞ্জিনের অভ্যন্তরে প্রজ্বলিত হয়ে বাহিরে আসে তখন কার্বোন মনোক্সাইড(CO), নাইট্রোজেন অক্সাইড(NOx) এবং ভোলা-লাইট অর্গানিক কম্পাউন্ড,(VOC). এসব ক্ষতিকারক গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়।
যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এসব সমস্যা নিরসনে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্য ১৯৫০ সালের দিকে ফ্রান্সের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার Eugene Houdry সর্বপ্রথম ক্যাটালিটিক কনভার্টারের ধারণা প্রকাশ করেন।
এরপর ১৯৭০-১৯৭৩ সালের দিকে ইঞ্জিনিয়ার Jhon J. Mooney এবং Carl D. keith ক্যাটালিটিক কনভার্টারের ডেভেলপমেন্ট করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেন।


☞ক্যাটালিটিক কনভার্টার কয় ধরনের?
ক্যাটালিটিক কনভার্টার ২ ধরনের হয়ে থাকে, যথা-
১. দ্বি-মূখী ক্যাটালিটিক কনভার্টার(পুরনো মডেলের গাড়িতে ব্যবহার হতো)
২. ত্রি-মূখী ক্যাটালিটিক কনভার্টার(১৯৮০ এর পর যেসব গাড়ি এসেছে সেগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে)
☞ক্যাটালিটিক কনভার্টার কিভাবে গঠিত?
নিম্নোক্ত অংশের সমন্বয়ে একটি ক্যাটালিটিক কনভার্টার গঠিত -
১. ক্যাটালিটিক কনভার্টার বডি
২. হ্রাসকরণ প্রভাবক অংশ
৩. সিরিমিকের তৈরি মউচাকের ন্যায় অংশ
৪. অক্সিডেশন প্রভাবক অংশ
৫. তাপ রোধক কেসিং
☞ক্যাটালিটিক কনভার্টার কিভাবে কাজ করে?
যেহেতু আধুনিক সকল মোটরযানে ত্রি-মূখী ক্যাটালিটিক কনভার্টার ব্যবহৃত হয়, সেহেতু আমি এটির কার্যপ্রণালী ব্যাখা করছি।
ত্রি-মূখী ক্যাটালিটিক কনভার্টার ২ টি প্রকোষ্ঠে তাদের কার্য সম্পাদন করে।
১. হ্রাসকরণ প্রভাবক অংশ
২. অক্সিডেশন প্রভাবক অংশ
হ্রাসকরণ প্রভাবক অংশ হচ্ছে ক্যাটালিটিক কনভার্টারের প্রথম ধাপের অংশ।
এই অংশে প্লাটিনাম এবং রেডিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয় NOx বা নাইট্রোজেন অক্সাইডের দূষণ কে প্রশমিত করার জন্য।
যখন নাইট্রোজেন অক্সাইড অণু এই অংশের সাথে সংস্পর্শে আসে তখন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে নাইট্রোজেন অক্সাইড অণুকে(NOx) ভেঙে অক্সিজেন(O) এবং নাইট্রোজেন(N)পরমাণুকে আলাদা করে ফেলে।
2NO➤ N2 + O2 অথবা
2NO2➤ N2 + 2O2
অক্সিডেশন প্রভাবক অংশ হচ্ছে ২য় ধাপ
এখানে অ-পোড়া হাইড্রো কার্বন এবং কার্বন মনোক্সাইডকে প্লাটিনিয়াম এবং প্যালাডিয়ামের সাহায্যে পুড়িয়ে অক্সিডেশন (জারণ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবশিষ্ট অক্সিজেনের সাথে মিশে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানিতে রুপান্তরিত করে।
2CO+O2➤2CO2
HC+O2➤CO+H2ও
আজকের মতো এই পর্যন্তই, আগামী পর্বে আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ, সেই পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট টি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন, এই টপিক নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখুন।
ধন্যবাদ

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

গাড়ি আবিস্কারকদের পরিচয়

 এক নজরে গাড়ি আবিস্কারদের পরিচয়

জার্মানির নিকোলাস অগাস্ট অটো- ১৮৭৬সালে চার স্ট্রোক ইঞ্জিন আবিস্কার করেন, যাকে অটো সাইকেল ইঞ্জিন বা পেট্রোল ইঞ্জিন বলে
জার্মানির কার্ল ব্রেঞ্জ – ১৮৮৫-১৮৮৬ সালে তিন চাকার গাড়িতে পেট্রোল ইঞ্জিন স্থাপন করেন,যা ১৮৮৬সালের ২৯ জানুয়ারীতে চালানো হয় যার গতি ছিল ঘন্টায় দুই কিলোমিটার ।



ডেইমলার- ১৮৮৯সালে ফোর হুইল মোটরযান তৈরী করেন,এতে ইঞ্জিন , পাওয়ার ট্রান্সমিশন, ব্রেক, ক্লাচ সিস্টেম যুক্ত ছিল ।
১৮৯৩সালে – আমেরিকার চালর্স ডুরি এবং ফ্রাংক ডুরি নামের দুই ভাই পেট্রোল ইঞ্জিন চালিত মোটযান তৈরী করেন ।
প্রথম বিশ্বযুদ্বের সময় মোটরযানের বডি কাঠ দিয়ে এবং পরে ধাতব বডি তৈরী করা হয়, এভাবে আধুনিক মোটরযানের আবির্ভাব ঘটে ।

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কী?

 আমাদের গ্রুপে অনেকে নতুন সদস্য আছেন এবং এমনও সদস্য আছেন যারা শুধু আমাদের পোষ্ট গুলো দেখেই যান আর বিভ্রান্তিতে পড়েন যাদের মনে শুধু একটাই প্রশ্ন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কী?

তাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন:-



অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং নামেও পরিচিত এটি একটি ক্ষেত্র যা গাড়ির নকশা, উন্নয়ন, উত্পাদন এবং সুরক্ষা পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা স্বয়ংচালিত প্রযুক্তিগত কর্মক্ষমতা, যানবাহন নান্দনিকতা এবং স্বয়ংচালিত সফ্টওয়্যার উন্নত করতে অন্যান্য প্রকৌশলীগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। অটোম্বাইল ইঞ্জিনিয়ার | স্বয়ংচালিত প্রকৌশল চিত্র উত্স অটোমোবাইল উত্পাদনের জন্য পেশাদারদের একটি বিশাল দল প্রয়োজন যা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নির্দিষ্ট দিকগুলিতে বিশেষজ্ঞ। এই বিশেষায়নের মধ্যে রয়েছে কন্ট্রোল সিস্টেম, অ্যারোডাইনামিক্স, তরল যান্ত্রিকতা এবং নির্গমন নিয়ন্ত্রণ। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য, বেশিরভাগ নিয়োগকর্তা আশা করেন যে আপনি কোনও সম্পর্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে একটি ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন, যদিও কয়েকটি বড় স্বয়ংচালিত সংস্থা শিক্ষানবিশ অফার দেয়। আপনি যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ করতে চান সেই ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে আপনার স্নাতকোত্তর শংসাপত্রের প্রয়োজন হতে পারে। শক্তিশালী কাজের নীতি সহ কর্মচারীদের পক্ষে অবস্থানটি আদর্শ যা তাদের কাজ কীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে তা দেখে উপভোগ করে। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মজাদার ফলাফল রয়েছে যার অর্থ ইঞ্জিনিয়াররা তাদের কাজের সাফল্য, এমনকি ব্যর্থতাও দেখতে পাবে। তদুপরি, যে ব্যক্তিরা সমস্যা সমাধান এবং চ্যালেঞ্জগুলি উপভোগ করেন তারা সাধারণত অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের অবস্থাতে সন্তুষ্টি পান।

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০

স্পার্ক প্লাগ এর গঠন ও কার্যাবলী বিস্তারিত আলোচনা।

 আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই?
আজকে আমি আলোচনা করব স্পার্ক প্লাগ নিয়ে।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
আমুরা সবাই জানি, স্পার্ক প্লাগ হচ্ছে পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের একটি অত্যাবশকীয় উপাদান।
স্পার্ক প্লাগঃ স্পার্ক প্লাগ হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যা পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে কম্প্রেশন স্ট্রোকের শেষে কম্প্রেশড জ্বালানি ও বাতাসের মিশ্রণের মাঝে দহনের কাজ করে থাকে।



স্পার্ক প্লাগ প্রধানত ২ প্রকার, যথা-
১. কোল্ড স্পার্ক প্লাগ / শর্ট থ্রেড স্পার্ক প্লাগ
২. হট স্পার্ক প্লাগ / লং থ্রেড স্পার্ক প্লাগ
আবার স্পার্ক প্লাগকে সাধারণত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
১. কপার স্পার্ক প্লাগ
২. ইরিডিয়াম স্পার্ক প্লাগ
৩. প্লাটিনাম স্পার্ক প্লাগ
৪. ডাবল প্লাটিনাম স্পার্ক প্লাগ
কার্যপদ্ধতিঃ
একটি স্পার্ক প্লাগের দুইটি ইলেকট্রোড থাকে। একটি তার কেন্দ্রস্থলের ভিতর দিয়ে যায়। ইহা সিরামিক পদার্থ
দিয়ে চতুর্দিকে বেষ্টিত থাকে। ধাতু নির্মিত প্লাগের আবরনে
সিরামিকের ইনসুলেটর থাকে। এটা সিলিন্ডার এর দেওয়ালের সঙ্গে স্ক্রু দিয়ে আটকানো থাকে এবং তার ফলে বৈদ্যুতিক কানেকশন স্থাপিত হয়।
অপর ইলেকট্রোডটি ঐ আবরণের নিম্নপ্রান্ত থেকে প্লাগের কেন্দ্রের কেন্দ্রস্থলের দিকে এক্সপান্ড হয়। দুইটি ইলেকট্রোডের প্রান্তদেশের মধ্যে একটি ছোট গ্যাপ রাখা হয়।
ইঞ্জিনের সাথে নেগেটিভ কানেকশন আর্থ করা থাকে এবং স্পার্ক প্লাগের টার্মিনালের সাথে ইগনিশন কয়েল সংযুক্ত থাকে।
ইগনিশন কয়েল উচ্চ ভোল্টেজের ইলেকট্রিক পালস সরবরাহ করে। যা স্টোরেজ ব্যাটারিতে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎকে প্রায় ৩০০০০ ভোল্ট পর্যন্ত বর্ধিত করে।
ইঞ্জিনের কম্প্রেশন স্ট্রোকের শেষে স্পার্ক প্লাগ ইঞ্জিন সিলিন্ডারের ভিতর স্পার্ক ঘটায়। ফলে চার্জ বিস্ফোরণ হয়ে পিস্টনের মাথায় ধাক্কা আরোপ করে ইঞ্জিনের শক্তি উৎপাদন করে থাকে।



স্পার্ক প্লাগের সাধারণত ত্রুটিঃ
১. ইঞ্জিনের এয়ার ও ফুয়েল এর মিশ্রণ সঠিক না হলেঃ
ইঞ্জিনে যদি এয়ার ও ফুয়েলের মিশ্রণ সঠিক মাত্রায় না হয় তবে স্পার্ক প্লাগে তেল চলে আসবে। এতে স্পার্ক প্লাগ তেলতেলে হয়ে যাবে। ফলে স্পার্ক প্লাগ সঠিক মাত্রায় স্পার্ক করতে পারবেনা। এর কার্যকারিতা হারাবে।
২. কোন অবস্থায় পানি প্রবেশ করলেঃ
বৃষ্টিতে বা গাড়ি ওয়াশ করার সময় যদি কোন ভাবে স্পার্ক প্লাগ ভিজে যায় আর যদি এই অবস্থায় ইঞ্জিন স্টার্ট করার চেষ্টা করা হয় তবে স্পার্ক প্লাগ শর্ট হতে পারে।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন এবং কোন মন্তব্য থাকলে সেটি কমেন্ট বক্সে লিখুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের মতো এই পর্যন্তই, আগামী পর্বে আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ, সেই পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Engine Head checking

 Car engine head checking. কার ইঞ্জিন হেড পরিক্ষা করা

#bd_Automobile_zone

#bmw #toyota


How to Install Piston Rings

 How to install piston Rings (পিস্টন রিং যে ভাবে স্থাপন করবেন।

#bd_automobile_zone

#ashok_leyland

#Dost


শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

How To install Crankshafts

How To install Crankshafts

 যেভাবে ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট পরিবর্তন অথবা স্থাপন করবেন তার বিস্তারিত দেখুন।




Ashok Leyland bada dost /Phoenix

 বাংলাদেশে অশোক লেল্যান্ড এর আপডেট মডেল অশোক লেল্যান্ড ফিনিক্স বাদা দোস্ত লন্স করেছে।  খুবই চমৎকার একটি পিকাপ। এই পিকাপ টিতে ব্যবহ্ত হয়েছে ব...